চতুর্থ ধাপে ১২৮ উপজেলার মধ্যে ১৫টিতে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন সব প্রার্থী। আর ৩৯ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই হচ্ছে না। আচরণবিধি ভেঙে প্রচারে অংশ নেয়ায় বুধবার ৫ জেলার ৭ সংসদ সদস্যকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। অনিয়ম-সহিংসতা ঠেকাতে ৪০ উপজেলায় মোতায়েন করা হয়েছে ১৫০ প্লাটুন অতিরিক্ত বিজিবি। 

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ১৬ জেলার ১২২ উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা রোববার। তবে আদালতের নির্দেশে স্থগিত কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার সঙ্গে তৃতীয় ধাপে বাদ পড়া নরসিংদী, দিনাজপুর ও কক্সবাজার সদরের ভোটও হবে এই ধাপে। সবমিলিয়ে চতুর্থ ধাপে ভোটগ্রহণের কথা ১২৮ উপজেলায়। কিন্তু এরইমধ্যে ১৫ উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সব প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ায় ভোট হচ্ছে ১১৩টিতে।

আবার এই ১১৩ উপজেলার মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হচ্ছে না ২৪টি উপজেলায়। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে না ১২ উপজেলায়।

দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের মতো এ ধাপেও বাড়তি নিরাপত্তা দিচ্ছে কমিশন। ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় ৪০ উপজেলায় আগের দুই প্লাটুনের সঙ্গে বাড়তি ৩ থেকে ৪ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলে মোতায়েন থাকছে অতিরিক্ত কোস্টগার্ড। পুলিশ ও র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর প্রায় দেড় লাখ সদস্য ভোটের নিরাপত্তায় কাজ করছে। তাদের সঙ্গে আছেন আড়াইশো ম্যাজিস্ট্রেট।

আচরণবিধি ভাঙায় খুলনা-৬, টাঙ্গাইল-৪, ৫ ও ৮, ময়মনসিংহ-১১, বাগেরহাট-৪ ও যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্যদের এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসি। একই অভিযোগে প্রত্যাহার করা হয়েছে ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা থানার ওসিকে।

৩১ মার্চ নির্বাচনি এলাকায় থাকবে সাধারণ ছুটি। ভোটের আগে-পরের চারদিন নির্বাচনি এলাকায় বন্ধ থাকবে মোটরসাইকেল চলাচল। এছাড়া ৩১ মার্চ মধ্যরাত থেকে পয়লা এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত কমিশনের স্টিকারবিহীন ইঞ্জিনচালিত যান চলতে পারবে না।